নামাজী স্ত্রীর কান্ড।
ফজরের আযান হচ্ছে।
স্ত্রীঃ এই উঠো, আযান হচ্ছে। মসজিদে যাবে না! উঠো।
স্বামীঃ হু- আরেকটু ঘুমাই না!
স্ত্রীঃ হ্যা ঘুমাও তুমি আরাম করে,
আর আমি যাচ্ছি পানি আনতে।
তোমার মুখে ঢালবো।
স্বামীঃ আরে আরে !এই দেখো!
আমি উঠেগিয়েছি।
স্ত্রী মুচকি হেসি দিলেন। অতঃপর জানতে চাইলেন।
স্ত্রীঃ ঘুম কেমন হলো ?
স্বামীঃ দারুন ঘুম হয়েছে।
স্বপ্নও দেখেছি একটা।
স্ত্রীঃ ইশ তাই বুঝি! কি দেখলে ?
স্বামীঃ দেখেছি হাফ ডজন
পিচ্ছি বাচ্চা আমাকে আব্বু আব্বু আর„
তোমাকে আম্মু আম্মু বলে চিৎকার করে ডাকছে।
স্ত্রীঃ হু-হয়েছে অনেক দুষ্টামি।
এখন উঠো জলদি।
স্বামীঃ ইশ দেখেছ! কিভাবে ভাগিয়ে দিচ্ছে!
স্ত্রীঃ ভাগবে নাকি পা ধরে টেনে ফেলে দিবো?
স্বামীঃপাগলী রেগে গেছে রে!
স্বামী এই বলে উঠে গেলো।ওযু করে এসে রেডি হয়ে নামাজের উদ্দেশে বের হচ্ছিলেন।
স্ত্রী দরজা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন।
স্বামীঃ তুমি অনেক ভালো একটা বউ সেটা জানো"?
স্ত্রীঃ হু হয়েছে ।দেরী হয়ে যাচ্ছে।
স্বামীঃ এভাবে রোজ
বকাঝকা করে আমাকে নামাজে পাঠিয়ো! কেমন ?
স্ত্রীঃ তারপরেও নিজ থেকে উঠে যাবেনা! তাইনা ?
স্বামীঃ সকাল সকাল তোমার ডাকে ঘুম।
ভাঙবে তারপর তোমার তাড়া খেয়ে নামাজ
পড়তে যাবো। আর এর জন্য
আমি কখনও নিজ থেকে উঠবো না।
স্ত্রীঃ তোমাকে নামাজের জন্য
রেডি করে পাঠাতে আমার
অনেক ভাল লাগে।
স্বামীঃ এই জন্যই আমি তোমাকে এত ভালবাসি।
স্ত্রীঃ দেরী হচ্ছে কিন্তু জলদি যাও!
যাচ্ছি।
স্বামীঃ আল্লাহ্ হাফেজ
স্ত্রীঃ ফি আমানিল্লাহ।
স্বামী মুচকি হাসি দিয়ে নামাজের উদ্দেশে অন্ধকার পথ বেঁয়ে হেঁটে যায় আর মনে মনে বলে,
"হে আল্লাহ্ কোন ভাবেই আমি তোমার শোকর আদায় করে শেষ করতে পারবোনা। কিসের বিনিময়ে আমাকে এমন জীবন সঙ্গিনী দিয়েছো আমি তাও জানিনা।"
দরজা আটকিয়ে স্ত্রী জায়নামাজে বসে
মুনাজাত শুরু করে,
"হে আল্লাহ্ এই মানুষটার সাথেই যেন
জীবনের শেষ মুহূর্তটা কাটে
আর আখেরাতের শুরুটাও যেনো হয়
এই মানুষটার হাত ধরে।"
(প্রতিটি স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কই যেন এমন মধুময় ও রোমান্টিক হয়-... আমিন।)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন