হেফাজত নিয়ে হঠাৎ কেন জ!ঙ্গি তত্ত্ব আবিস্কার করছে শেখ সেলিম ও নদভীরা
দুইদিন আগে শেখ সেলিম সংসদে দাঁড়িয়ে হেফাজতকে নির্মুল করার প্রয়োজন ব্যাখ্যা করলো। কারণ হেফাজতকে সে জ!ঙ্গি সংগঠন মনে করে। এর কিছুদিন আগে সাবেক জামায়াত নেতা (বর্তমানে জামায়াতের সমালোচনার বিনিময়ে নৌকায় আশ্রয় পাওয়া) রেজা নদভীও সংসদে দাড়িয়ে হেফাজতে জ!ঙ্গি আবিস্কার করে ফেলেছেন।
মানবজাতি এতকাল ধরে নানান বৈজ্ঞানিক আবিস্কার দেখে আসলেও এখন বিশেষ এক প্রজাতির কল্যাণে রাজনৈতিক স্বার্থে কিছু জ্ঞানপাপীর অদ্ভুতুড়ে সব আবিস্কার দেখছে বাংগালি জাতি। বঙ্গ দেশে জন্ম নেওয়া এ প্রজাতি নিয়ে এরপরও এ জাতি কেন গর্ব করেনা? কেন শোকরানা মাহফিল করেনা? এইজন্যই তো নদভীদের মত "নেয়ামত" বৃদ্ধি পাচ্ছেনা এদেশে!
জামায়াতের সমালোচক থেকে কেন হঠাৎ হেফাজতের সমালোচক হয়ে উঠলো নদভী?
আজ আল্লামা আহমদ শফির প্রকৃত উত্তরসূরী সেজে ঘুরে বেড়ালেও ২০১৩ সালে এই নদভীকে দূরবীন দিয়েও খুজে পায়নি হেফাজতের কোন নেতাকর্মী। কোন কিছুতেই সে ছিলনা। তিনি তখন নতুন নতুন নৌকায় ওঠার আনন্দ উদযাপন করছিলেন। তার মত মানুষও আজ হেফাজতকে বয়ান দিয়ে বেড়ায়! আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর হেফাজত নিয়ে তার আপত্তির শেষ নাই। দারুল মায়ারিফের মত স্বনাম ধন্য কওমী মাদরাসা থেকে নানা অভিযোগে বহিস্কৃত হয়েও আজ সে কওমীর বিশাল দরদী।
কিন্তু জামায়াত বিরোধী থেকে তিনি হঠাৎ হেফাজত বিরোধী কেন? রেজা নদভী হয়তো ধারণা করছেন, তার মুখে জামায়াতের সমালোচনাটা শুনে মানুষ এখন একটু বেশি হাসে, গালি দুইটা বেশি দেয়। তাই পান চিবিয়ে চিবিয়ে এক ক্যাসেট বারবার বাজানোর মত বিরক্তিকর কর্মকান্ড থেকে এ জাতিকে মুক্তি দিতেই তিনি এখন হেফাজতের সমালোচক আকারে আবির্ভূত হচ্ছেন! রেজা নদভী হয়তো ধারণা করছেন, তার মুখে জামায়াতের সমালোচনাটা শুনে মানুষ এখন একটু বেশি হাসে, গালি দুইটা বেশি দেয়। তাই পান চিবিয়ে চিবিয়ে এক ক্যাসেট বারবার বাজানোর মত বিরক্তিকর কর্মকান্ড থেকে এ জাতিকে মুক্তি দিতেই তিনি এখন হেফাজতের সমালোচক আকারে আবির্ভূত হচ্ছেন!
তাছাড়া আওয়ামী সরকারের কৃপায় তো তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদখানাও দখলে নিয়ে ফেলেছেন। জামায়াতের সমালোচনা থেকে তাই এখন আর হয়তো তার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। এরচেয়ে বরং হেফাজতের সমালোচনাটাই উনাকে আওয়ামিলীগের ঘনিষ্ঠ হতে সাহায্য করবে।
কট্টর ধর্মনিরপেক্ষ (পড়ুন, ধর্মীয় রাজনীতি বিরোধী) রাজনীতিবিদ হোক আর আওয়ামীলীগের দরবারের বেশধারী আলেম হোক সবাইকে এখন থেকেই নৌকায় আসন পাকাপোক্ত করে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে৷ যেভাবে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়েছে বলা তো যায়না কখন কাকে নৌকা থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়৷
কারণ যে দলের কাছে তার পরিবারের সদস্য ফজলে নূর তাপস বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে সফল মেয়র সাইদ খোকনের চেয়ে, যে দল ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে সচিবদের গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয় সংসদ সদস্যদের উপর, সেই দল কখন কাকে টিস্যুর মত ছুড়ে ফেলে এর কোন গ্যারান্টি তাদের কেউ দেবে?
শেখ সেলিমের হয়তো পরিবারের সদস্য হওয়ায় নৌকায় থেকে যাবেন। কিন্তু রেজা নদভীদের কি হবে?
অনেক দরবারী মৌলভীকে তো নৌকায় ওঠানোর লোভ দেখিয়ে স্বার্থ আদায়ের পর হাড্ডি একটা ধরিয়ে দেওয়ার টাটকা নজিরও আছে। এরপর সেই নামধারী মুফতিরা হাড্ডি পেয়ে নেত্রীর জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে নৌকায় ওঠার কসরতও জারি রেখেছেন।
এ থেকে কি তারা শিক্ষা নিবে না? অবশ্যই নিবে৷ তাই তো হেফাজত মূলধারার উপর অটল থাকলে সকাল বিকাল এর বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডামূলক বক্তব্য জারি রাখে তারা। এতে যদি একবার নেত্রীর সুনজর পড়ে যায় তাইলেই তো কেল্লা ফতেহ।
তাই আসুন! আগামী নির্বাচনে নেত্রীর কৃপার জন্য লালায়িত হয়ে এখন থেকেই নিজেদের সেরা ওয়াফাদার প্রমাণে ব্যস্ত হয়ে পড়ার এই প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। 'জনগণের সেবা' করার আর কোন বিকল্প পথ কি আপনার জানা আছে? না থাকলে কেন শুধু শুধু বেচারাদের গালিগালাজ করেন? সমালোচনা করা সহজ। এমপি হওয়া কঠিন। পারলে আগে তাদের মত এমপি হয়ে দেখান, তারপর তাদের সমালোচনা কইরেন।
চমৎকার
উত্তরমুছুন